পিরোজপুর প্রতিনিধি ॥ নাজিরপুরে শাশুড়ি নার্গিস বেগমকে (৫৫) কুপিয়ে আহত করলেন জামাতা কদর শরীফ। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২০ মে) নাজিরপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মে) সন্ধ্যায় ওই উপজেলার শাঁখারীকাঠী ইউনিয়নের বাঘাজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। কুপিয়ে আহত শাশুড়ি নার্গিস বেগম একই গ্রামের মৃত সেকেন্দার শেখের স্ত্রী। গুরুতর আহত শাশুড়িকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিক্যাল কলেজ (খুমেক) হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আহতের ছেলে সাগর শেখ বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার মামলাটি দায়ের করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জামাতা কদর শরীফের মা হাফিজা বেগমকে (৬০) আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্ত কদর শরীফ গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ছিরামাকাঠি গ্রামের নতুনবাজার এলাকার সিরাজুল হক শরীফের ছেলে। মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেয়ের জামাতা কদর শরীফের এক বোনকে নাজিরপুরের বাঘাজোড়া গ্রামে বিয়ে দেন। সেই বোনকে কদর শরীফের শ্বশুরবাড়ি থেকে পাওয়া জমি দিতে চাপ দেন শাশুড়িসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন। ১৯ মে সন্ধ্যায় বোনকে ওই জমি দিতে শ্বশুরবাড়িতে আসেন জামাতা ও তার মা। সে সময় বাড়িতে একা থাকায় এতে রাজি হননি শাশুড়ি। এনিয়ে তাদের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে শাশুড়িকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেন জামাতা কদর শরীফ। পরে তাকে উদ্ধার করে নাজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. মোস্তফা কায়সার জানান, তার (শাশুড়ি) শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপানো হয়েছে। আঘাতগুলো বেশ জটিল হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা পাঠানো হয়েছে। নাজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত জামাতা কদর শরীফ পলাতক রয়েছেন, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। তবে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে কদরের মা নার্গিস বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
Leave a Reply